আবু হুরাইরা রাসেল, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোর কেশবপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর প্রায় দেড় মাস পর আদালতের নির্দেশে কেশবপুর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে দাফন করা তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার খুলনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে যশোর জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ওই শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারের হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয় কেশবপুর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের হেলাল উদ্দীন গাজীর সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে।
তাকে ওই ক্লিনিকের ডাক্তার দ্বারা সিজার করার সময় ছুরিকাঘাতে পেটে থাকা নবজাতকের (পুত্র) নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। পরে শিশুটি মারা যায়।
শিশুটির পিতা হেলাল উদ্দীন গত ৫ অক্টোবর ওই ক্লিনিকের মালিকসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। একপর্যায়ে গত ১৫ অক্টোবর খুলনার নোটারী পাবলিক হতে বাদী ভবিষৎ এ মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নয় মর্মে এফিডেভিট সম্পাদন করে আদালতে আবেদন জানান। গত ৩ নভেম্বর মামলার ধার্য্য তারিখে বিজ্ঞ আদালত বাদীর আবেদন মঞ্জুর না করে মৃত নবজাতকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে যশোর জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, খুলনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে নবজাতকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে তিনি সুরতহাল রিপোর্ট প্রদান করেছেন।