গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা ও ডাক্তার না পেয়ে বাসায় ফেরার একদিন পর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার(১৭ ডিসেম্বর) সকালে কাপাসিয়ার খোদাদিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ফকির (৮৫) মারা যান। বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জানান কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইসমত আরা।
এ সময় ওই মুক্তিযোদ্ধার ছোট ছেলে আব্দুল আল মামুন ফকির অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বাবাকে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় তাকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে কেবিনে বেড দিতে বললে জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয় হাসপাতালের কোনা বেড খালি নেই। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে নার্সরা ফ্লোরে শয্যা পেতে দেন! স্ট্রোকের রোগী নিয়ে সেখানে অবস্থান করার মতো পরিবেশ না থাকায় তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসা হয়।
তিনি বলেন, বাবা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন অথচ সেই দেশেই বিনা চিকিৎসায় তাকে জীবন দিতে হয়েছে-এর থেকে লজ্জার আর কি হতে পারে!
মুক্তিযোদ্ধার প্রবাসী ছেলে হারুন ফকির তার ফেসবুকে আইডিতে ক্ষোভে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। যেখানে তিনি লিখেন, আমার আব্বা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। কালকে গিয়েছিল গাজীপুর সদর হসপিটালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর বলে কোনো ডাক্তার হসপিটালে নাই, আর আমরা ১৬ ডিসেম্বর বলে চিল্লা-চিল্লি করি। ২৬ মার্চ বলে চিল্লা-চিল্লি করি কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার পাওয়া যায় না, আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. তপন কান্তি সরকার সময় সংবাদকে বলেন, জরুরি বিভাগে ডাক্তার না থাকার কোনো সুযোগ নেই। ওই মুক্তিযোদ্ধাকে যেখানে জায়গা দিয়েছেন সেখানে হয়তো পছন্দ হয়নি-যে কারণে ভর্তি না হয়ে কাগজপত্র নিয়ে চলে গেছেন তারা। তবুও এ বিষয়ে রোগীর কোনো স্বজন যদি অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।