রুপান্তর ডেস্ক:
শরণখোলায় পৈচাশিক নৃসংশতার শিকার হয়েছেন সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক নারী। স্বামী পুলিশের কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন ওই নারীকে হত্যার পর গলা ও দুই হাতের কবজি কেটে ফেলেন। পরের ঘটনাটি একেবারে হতভম্ব করার মতো। মৃত নারীটির পেট কেটে সাতমাস বয়সী শিশুটিকে বের করে আনেন। পরে কাটা মাথা, হাতের কবজিসহ জন্মের আগে মারা যাওয়া শিশুটি বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখেন। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার তাফালবাড়ী পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোপন খবরে ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার ও টুকরো টুকরো করা স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে।
নৃসংশতার স্বীকার ওই নারীর নাম জোৎসনা বেগম (৩০)। তিনি খুলনার রূপসা উপজেলার চানপুর গ্রামের আবু বকর শেখের কন্যা। সাদ্দাম হোসেন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের আ. লতিফের ছেলে। সাদ্দাম শরণখোলার তাফালবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
থানায় মামলা ও নিহতের মা জুলেখা বেগমের অভিযোগে জানা যায়, সাত মাসের অন্তঃস্বত্বা দ্বিতীয় স্ত্রী জোৎসনা বেগমকে প্রথমে গলা টিপে হত্যার পর গলা দুই হাতের কব্জি ও পেট কেটে পেটের সাত মাসের বাচ্চাটিকে বের করে একটি বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখে। গোপন খবরে পুলিশ তাকে আটক ও লাশ উদ্ধার করেন।
শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকা- ঘটেছে বলে আটক কনস্টেবল স্বীকার করেছে। নিহতের মা জুলেখা বেগম বাদি হয়ে শুক্রবার দুপুরে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।